দুষ্কৃতকারীদের হাতে বারবার কৃষি ফসল ও মাছ চাষের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে মিন্টুর সাংবাদিক সম্মেলন

নিউজ ডেক্স :
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের লাউজনি গ্রামের সফল কৃষি উদ্যোক্তা মৃত মমিনুল হকের পুত্র মোঃ মোহাইমেনুল হক মিন্টু নিজের কৃষি ফসল ও মাছ এবং মুরগির খামার দুষ্কৃতকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে সাংবাদিকদের কাছে সাহায্য চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সোমবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১২টায় যশোর প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ মোহাইমিনুল হক মিন্টু বলেন, আমার নিজের ও লিজ নেওয়া মোট ৫৫ বিঘা জমিতে পেঁপে ও কলার চাষ আছে, ৮ টি মাছের ঘের এবং ৪ টি মুরগির খামার আছে। ২০২৩ সাল থেকে একদল দুষ্কৃতকারী ধারাবাহিক ভাবে আমার এই সকল কৃষি ফসল, মাছ ও মুরগির খামারের ক্ষতি করে চলেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনা গুলো হলো ৪০০ কাদি কলা পরিপক্ব হওয়ার আগেই কেটে দেওয়া, বসত বাড়ির দেয়াল ভেঙে সেচযন্ত্র ও কৃষি যন্ত্রপাতি চুরি, মুরগির খামারের ১২টা সিলিং ফ্যান সহ অন্যান্য মালামাল চুরি, প্রথম পর্যায়ে ২ বিঘা জমির ৮০০ পেঁপে গাছ, পরবর্তী পর্যায়ে আবারও ৭ বিঘা জমির ২৮০০ ফলন্ত পেঁপে গাছ কেটে দেওয়া, ১২ বিঘা মাছের ঘেরের পাড় কেটে দিয়ে মাছ বের করে দেওয়া, আড়াই বিঘা জলাকারের পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা, যশোর বেনাপোল মহাসড়কের লাউজনি রেলক্রসিং এর পাশে অবস্থিত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মুক্ত দোকানে ১৫০ কাদি পাকা কলা সহ দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া সহ আরও অনেক ক্ষতি করেছে এই চক্রটি। টাকার অংকে যেটি প্রায় কোটি টাকার মত। প্রতিটি ঘটনার পরপরই থানা পুলিশকে অবগত করে জিডি, অভিযোগ এবং মামলা দায়ের করলেও আজ পর্যন্ত একজন দুষ্কৃতকারীও ধরা পড়েনি। এছাড়াও গত ১২ আগষ্ট আমার উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়। এখনও আমি জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় আছি। আমার কৃষি, মাছ ও মুরগির খামারে প্রায় ৩৫/৪০ জন শ্রমজীবী ও বিধবা মহিলা কাজ করে। তারাও বর্তমানে কাজ হারিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে জীবন যাপন করছে।

উল্লখিত ঘটনা সহ বর্তমানে মোহাইমিনুল হক মিন্টুর প্রতি অজ্ঞাতনামা দুষ্টচক্রের হাত থেকে জান ও মালেী রক্ষার্থে তিনি তার পাশে থেকে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে কলম সৈনিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

মন্তব্য করুন