চট্টগ্রাম শহর গ্রাম সবখানে পানি আর পানি

চট্টল সময় প্রতিবেদক :

থামছে না বৃষ্টি। পাঁচ দিনে টানা বৃষ্টির সাথে আছে পাহাড়ী ঢল ও জোয়ারের পানি। সৃষ্ট তিন ধারার পানির চাপে বাড়ছে হুহু করে বাড়ছে পানি। শহর, বন্দর, গ্রাম সব খানে পানি আর পানি। এই পানিতে সাঁতরিয়ে কর্মজীবি মানুষের কয়েকদিনের জীবনপণ ছুটে চলা। অবস্থা দেখে ধারণা পাওয়া যায় দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।

চলমান আছে বৃষ্টি। কয়েকদিনের টানা বর্ষণের মধ্যে ৭ আগস্ট দেখা গেছে শহর বন্দর, গ্রামে আগের দিনের চাইতে পানি বেড়েছে। শহর ডুবে থাকার মধ্যে পার্শ্ববর্তী হাটহাজারী,আনোয়ারা,বোয়ালখালী,রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি ও রাউজানের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার নিচুএলাকায় বন্যার পানিতে থৈই থৈই করছে। বিভিন্নস্থানে সড়ক পাশের বড় বড় গাছ উপড়ে পড়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে তার ছিঁড়েছে। বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু রাখতে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মীরা। একাজের জন্য বিদ্যুৎ প্রবাহ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় রাউজান উপজেলার দক্ষিণাংশের উরকিরচর, পশ্চিম গুজরা, নোয়াপাড়া,

 

বাগোয়ান,পূর্বগুজরা,বিনাজুরী ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের উপর দিয়ে তীব্র স্রোতে পানি গড়িয়ে পড়ছে। কোনো কোনো রাস্তায় হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। হালদা ও কর্ণফুলীর পার্শ্ববর্তী গ্রাম গুলোতে মানুষের বাড়ি ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হাট বাজারের দোকান গুলোতে হাঁটুথেকে কোমর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। অনেকেই ঘরে চলছেনা রান্না। অনেকেই গৃহপালিত পশু নিয়ে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে।

দক্ষিণ রাউজানের জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায় টানা বৃষ্টির পানির সাথে জোয়ারের বর্ধিত পানির কারণে তারা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন। উপজেলার উত্তরাংশের ইউনিয়ন গুলো ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডেও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয়রা বলেছেন পূর্বপার্শ্বের পাহাড়ী অঞ্চল থেকে তীব্র স্রোতে ঢলে পানি নেমে আসায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, বেরুলীয়া, ডাবুয়া ও সর্তাসহ ছোট ছোট চড়া খাল হয়ে প্রচণ্ড স্রোত হয়ে পাহাড়ী পানি নামছে। পানির বিধ্বংসী স্রোতে কোনো কোনো স্থানে খালের পাড় ভেঙ্গে কাঁচা পাকা রাস্তা ধসে নিচ্ছে। দুর্গত এলাকার জনসাধারণের আশংকা সারা রাত বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।

মন্তব্য করুন