স্টাফ রিপোর্টার:
যশোরের ঝিকরগাছার সদর ইউনিয়নের হাড়িয়াদেয়াড়া গ্রামের মাঝের পাড়ার সরকারি রাস্তায় স্থাপিত পানি নিষ্কাশনের জন্য দেওয়া কালভার্টের মুখ প্রভাবশালীদের দ্বারা বন্ধ করে দেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন মোঃ নুর ইসলামের পুত্র মোঃ জনি।
অভিযোগে মোঃ জনি উল্লেখ করেছেন, আমার বসত বাড়ির সামনে বর্ষার পানি প্রবাহিত হওয়ার জন্য একটি সরকারী কালভার্ট আছে। কিন্তু এলাকার মৃত সেকেন্দার হাজীর পুত্র মোঃ মোস্তফা কামাল, এবং মৃত মসলেম হাজীর পুত্র মোঃ নজরুল ইসলাম কালভার্টটি ইট দিয়ে গেথে বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে বর্ষার পানি আটকা পড়ে আমার বসত বাড়ি, কবরস্থান সহ আশেপাশে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
মোঃ জনি বলেন, সমগ্র মহল্লার পানি আমার বাড়ির ওপর দিয়ে উক্ত কালভার্টের মাধ্যমে কপোতাক্ষ নদে যায়। কিন্তু কালভার্টের মুখ বন্ধ থাকায় পানি যেতে পারছেনা। বাড়ির চারিপাশে পানি জমে থাকায় ঘরে সাপ উঠছে, বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি মৌখিক ভাবে সমাধানের জন্য তাদেরকে জানিয়েছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। পানি জমে থাকার কারণে আমি আমার পরিবার নিয়ে নিদারুন কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছি। তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, যারা অভিযোগ করছে তাদের পানি আমার জমিতে দেওয়া একটি পাইপ দিয়ে বের হতো। বর্তমানে সেই পাইপটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং ঐ জায়গায় আমার গরুর ফার্মের গোবর ফেলার জন্য একটি হাউজ তৈরি করেছি। ইতোপূর্বে তাদের পানিতে আমার অনেক টাকার গোবর পানিতে ধুয়ে চলে গিয়েছে। এজন্য এখন মাটি দিয়ে উঁচু করে দিয়েছি। তাদেরকে বলা সত্বেও তারা তখন পাইপের ব্যবস্থা না করায় আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগকারীরা চাইলে এখনও আমার জমির সামনে দিয়ে ড্রেন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারে।
সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, মোঃ মোস্তফা কামাল তার জমি মাটি ভরাট করে উঁচু করে দিয়ে কালভার্টের খানিকটা সামনে নীচু করে পাচিঁল তুলেছেন এবং সেখানে গাছ লাগিয়ে রেখেছেন। পেছনের জমি নীচু থাকায় পানি বের হতে পারছেনা। আরেক পাশে নজরুল ইসলাম ইটের গাঁথুনি দিয়ে তার গোবর রাখার হাউজ করেছেন। ফলে উক্ত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভূপালী সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়ে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।