সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে বিগত বছর গুলোর চাইতে এবছর প্রতিটি আম গাছে ব্যাপক হারে আম দেখা যাচ্ছে। এতে করে আম চাষিদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক ও বুকে বেঁধেছে রঙ্গিন স্বপ্ন। দাম ভালো পাওয়া গেলে এবছর অনেক লাভবান হবে আম চাষিরা। উপজেলার বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি আমের গাছে ব্যাপক ভাবে আম ধরে রয়েছে। কোন কোন আম গাছে আমের জন্য গাছের পাতা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। আম চাষিরা গাছে আমের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এবারের মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়াগত কারণে পর্যাপ্ত মুকুল আসতে দেরি হলেও প্রতিটি গাছে এখন আমে ভরপুর আম গাছ গুলো। তবে বড় আকারের গাছের চেয়ে ছোট ও মাঝারি গাছে বেশি আম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এবছর আম গাছে ভালো আম দেখা যাচ্ছে। ফলে, ‘এবার দেখা দিয়েছে আম চাষিদের চোখে মুখে রঙ্গীন স্বপ্ন। উপজেলার একাধিক চাষিরা জানান, মুকুল বের হতে যে তাপমাত্রা প্রয়োজন বাতাসে সে তাপমাত্রা ছিল। ফলে আম গাছে এবার বেশি আম লক্ষ করা যাচ্ছে।
মৌসুমের শুরুতেই তানোরে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হবে বলে আশা করছেন আম চাষিরা। এতে করে তানোরের আম চাষিদের মুখে হাসি ও বুকে রঙ্গীন স্বপ্ন বাসা বেধেছে। মনে লেগেছে আনন্দের ঢেউ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা জুড়ে ৩শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। আম গাছের পরিমাণ প্রায় ৩৩ হাজার মত হতে পারে। গত বছর আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ৮শ’ মেট্রিক টন’ এবার তা ছাড়িয়ে যাবে। এবারে এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ না করলেও যে হারে আম দেখা যাচ্ছে, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বারের চেয়ে দ্বিগুন আম উৎপাদন বেশি হবে বলে ধারাণা করছে কৃষি অফিস।
তানোর উপজেলার কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহমেদ জানান, আম গাছে পরিচর্যা নেওয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যেকোন সময় এ্যানথাস জোনিত রোগ হতে পারে। তার জন্য প্রতিটি চাষিকে কার্বোডাজিং গ্রুপের ঔষুধ ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।গত বছরের চেয়ে এবার আমের উৎপাদন ভালো হবে বলে আসাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর।