
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অনন্য নজির স্থাপন করলো যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ২০২৪ শীর্ষক অনুষ্ঠানে নিজেদের জমানো টাকায় সম্মান ১ম বর্ষ থেকে মাস্টার্স শেষ বর্ষ পর্যন্ত দশজন মেধাবী ও সেরা শ্রেণিকক্ষ উপস্থিতধারীকে এককালীন বৃত্তিবাবদ নগদ অর্থ, অভিনন্দনপত্র ও প্রীতি উপহার হিসেবে জনপ্রতি তিনটি বই উপহার দিল। এছাড়া বিভাগের উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে বই ও বিভিন্ন ধরণের শিক্ষামূলক সাময়িকী উপহার দিয়েছে। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে নিজেদের সাফল্যের জন্য মিষ্টিমুখ করে আপ্যায়ন করেছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল দশটায় ইতিহাস বিভাগের স্মার্ট ক্লাসরুমে ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শামীমা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো: আখতার হোসেন। অনুষ্ঠানে বিভাগের পক্ষ থেকে স্নাতকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী 212জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ও জিপিএপ্রাপ্ত 33জন শিক্ষার্থীকে ‘সার্টিফিকেট অব অ্যাসিভমেন্ট’, শুভেচ্ছা উপহার ফুল ও বই প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্যকে উদযাপন করতে এবং অধ্যয়নরতদের অনুপ্রাণিতকরণে এ আয়োজন করা হয় বলে জানান আয়োজকরা।
সম্মান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সুলতানা তমা ও শাহরিয়ার ইমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: শাহ্জাহান কবীর। বিভাগ থেকে এমন সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী নুরুন্নবী হৃদয় বলেন, এ আয়োজন আমাদের জন্য অনেক আনন্দের ও গর্বের। আমরা সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ জানাই। একাডেমিক বই পড়ে ভালো ফলাফলের সাথে সাথে বহুমাত্রিক জ্ঞানবিষয়ক বই পাঠ আবশ্যক। কেননা শিক্ষিত মানুষ হওয়ার পাশাপাশি বিবেকবোধ, মানবিক ও জাগ্রত মানুষ হতে বই পড়ার বিকল্প নেই। আমরা যে ধর্মের বা বর্ণের হই না কেন পরিশেষে আমাদের প্রকৃত একজন মানুষ হতে হবে। এছাড়া ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সদা আত্ম-নিয়োগ করতে হবে।
সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী হামিদা হিমু বলেন, আমরা অভিভূত সম্মাননা পেয়ে এবং আমরা আনন্দিত যে অনুজ ও অগ্রজদের সর্বোপরি বিভাগকে আমাদের ক্ষুদ্র উপহার হিসেবে বই ও বৃত্তি প্রদান করে পরার্থপরতার ভাবনার বাস্তবায়ন করতে পেরে। আমরা যে ধারার সূচনা করেছি; আগামীতে যেন এ ধারা অব্যাহত থাকে।