
নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোর কোট সাব-পোস্ট অফিস পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। তার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে গ্রাহকরা সাব পোস্ট অফিস থেকে সেবা পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা যশোর জেলার ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলের কাছে অভিযোগ দিয়েও সমাধাণ পায়নি।
তাই ভুক্তভোগীদের পক্ষে যশোর জেলা আইনজীবী সরকারী সদস্য ফারুক হোসেন বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে কোট সাব-পোস্ট অফিস পোস্টমাস্টার হিসাবে যোগদান করেন সরদার আব্দুল হালিম। তিনি যোগদানের পর থেকে অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা খোলা রেখে কাযক্রম পরিচালনার নিময়। তিন্তু তিনি যোগদানের পর নিজের ইচ্ছা মত অফিস খোলা এবং আসা যাওয়া করছেন। বতমানে তিনি অফিস খোলেন সাড়ে ১০টা আর বন্ধ করে চলে যান আড়াইটার দিকে। যার ফলে সাড়ে ১০টার আগে এবং আড়াইটার পরে সেবা গ্রহিতারা কোট সাব-পোস্ট অফিসে গিয়ে সেবা পাচ্ছেন না। যার ফলে সরকারি কাজ কর্মে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে যশোর সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, গত বৃগস্পতিবার ছেলের আরএফএল গেুরুপে চাকুরির আবেদন রেজিস্ট্রি করতে সকাল সাড়ে ৯টায় কোট সাব-পোস্ট অফিস আসেন। কিন্তু পোস্ট অফিস বন্ধ থাকায় সে সময় আবেদন পাঠাতে পারেননি। পরে অফিস খুললে বেলা ১১টার দিকে রেজিস্ট্রি করতে হয়েছে। দেরি হয়ে যাওয়ার কারনে তিনি শহরের প্রয়োহনীয় কাজ করতে পারেননি।
এদিকে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আভিযোগকারী যশোর জেলা আইনজীবী সরকারী ফারুক হোসেন তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, কোট সাব পোস্ট অফিস দীর্ঘদিন সুনামের শহীত সব পোস্টমাস্টাররা সময় মত অফিস খোলা ও বন্ধ করা এবং চিঠিপত্র লেনদেনসহ সুষ্ঠুভাবে সেবা প্রদান করেছেন।
কিন্তু প্রায় দুই বছর যাবত বর্তমান পোস্টমাস্টার সরদার আব্দুল হালিম যোগদানের পর থেকে সময় মত অফিস না খোলার কারণে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সরকারি আরো অন্যান্য দপ্তরের এবং আইনজীবীদের চিঠিপত্র সময়মতো আদান-প্রদান করতে পারছেন না। পোস্টমাস্টার সরদার আব্দুল হালিম দুপুর ১টা বাজলে কোন চিঠিপত্র গ্রহণ করেন না। আড়াইটা বাজতেই অফিস বন্ধ করেন।
এ বিষয়ে বহুবার পোস্টমাস্টার সরদার আব্দুল হালিমকে নিয়ম অনুসরণ করে কাজ করতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি সরকারি দপ্তরের কমচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। কোন উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগীরা যশোর জেলার ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলের কাছে অভিযোগ প্রদান করেন। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়না।
অভিযোগ কারী আরও জানান,গত ২০ নভেম্বার বুধবার আমার সহকর্মীকে রাজস্ব টিকিট আনতে পাঠালে বিকাল সাড়ে ৩টার সময় কোট সাব-পোস্ট অফিস আব্দুল হালিম তালা বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। রাজস্ব টিকিট না পাওয়ার কারনে উকালত নামা করা সম্ভব হয়নি সে দিন। তাই পোস্টমাস্টার মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের এহেন কর্মকাণ্ডে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে সেবাগ্রহতিরা। তাই তিনি উদব্ধতন কর্তৃপক্ষে সহযোগীতা কামনা করেন।
এ ব্যাপারে কোট সাব-পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার সরদার আব্দুল হালিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার সাথে কথা বলা সম্বব হয়নি।